[ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩] সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের নতুন সিএইচআরও, সিআইও ও হেড অব কমিউনিকেশনস নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে গ্রামীণফোন। দেশের প্রযুক্তিখাতে অগ্রযাত্রার অংশীদার প্রতিষ্ঠানটিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) হিসেবে সৈয়দা তাহিয়া হোসেন, চিফ ইনফরমেশন অফিসার (সিআইও) হিসেবে নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন এবং হেড অব কমিউনিকেশনস হিসেবে শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন। সৈয়দা তাহিয়া হোসেন এবং নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন গ্রামীণফোনের ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য হিসেবে যুক্ত থাকবেন। অন্যদিকে, এক্সটেন্ডেড ম্যানেজমেন্ট টিমের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, “গ্রামীনফোনে যোগ দেয়া নতুন সিএইচআরও, সিআইও ও হেড অব কমিউনিকেশনসকে স্বাগত জানাই। প্রতিষ্ঠানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে মানবসম্পদ, তথ্যপ্রযুক্তি ও করপোরেট কমিউনিকেশনস এর ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। সিএইচআরও হিসাবে তাহিয়ার যোগদান আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতি ঘরে তুলতে, কর্মী সংযোগকে সামনের এগিয়ে নিতে ও বৈচিত্রপূর্ণ পরিবেশকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে তাহিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একইভাবে, ভবিষ্যতে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত কৌশল নির্ধারণের ক্ষেত্রে নিরঞ্জনের দক্ষতা আমাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, বিশেষ করে ডিজিটাল রূপান্তর, সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমরা গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলতে পারবো। আর একটি অংশগ্রহণমূলক সংস্কৃতি বিনির্মানে এবং প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও বাইরে কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আমাদের করপোরেট ন্যারেটিভকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কমিউনিকেশনস টিমে শারফুদ্দিনের যোগদান অনন্য ভূমিকা রাখবে।”
সৈয়দা তাহিয়া হোসেন তার উপর আস্থা রাখার জন্য গ্রামীনফোনের ম্যানেজমেন্ট টিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করতে এবং প্রতিষ্ঠানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের বৈচিত্র্যময় টিমের সাথে সফলভাবে কাজ করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ ক্ষেত্রে প্রতিনয়ত নতুন নতুন পরিবর্তন আসছে আর এমন সময়ে গ্রামীণফোনে সিএইচআরও হিসেবে যোগদান করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমার বিশ্বাস, প্রযুক্তি-নির্ভর মানবসম্পদ চর্চার সাথে যুক্ত হতে পারার মাধ্যমে কেবল গ্রামীণফোনে নয়, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আমার দেশের জন্যও অবদান রাখার সুযোগ তৈরি হবে।”
নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন বলেন, “গ্রামীণফোনের টেলকো থেকে টেলকোটেক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার যাত্রায় যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। গ্রামীণফোনের ডিজিটাল-নেক্সট কৌশল ও দক্ষ টিম তথ্যপ্রযুক্তির সক্ষমতার বৈপ্লবিক উন্নয়নে আমার ধারণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। উদ্ভাবন, প্রতিনিয়ত শেখা এবং নিরীক্ষার চর্চার মাধ্যমে গ্রামীণফোনে আমি আমার দায়িত্ব পালনে প্রত্যাশী। গ্রামীণফোনে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য ও চর্চার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য মূলত স্মার্ট বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা।”
শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, “গ্রামীণফোনে যোগ দিয়ে আমি খুবই আনন্দিত। কোটি মানুষের কাছে গ্রামীণফোনের গল্প তুলে ধরার কাজটি ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ক, আর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গ্রামীণফোনের যাত্রায় কার্যকরী ভূমিকা রাখার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।”
সৈয়দা তাহিয়া হোসেন
বিভিন্ন শিল্পখাত ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগে ২৬ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সৈয়দা তাহিয়া হোসেনের। এর মধ্যে ১৬ বছর তিনি শীর্ষ ব্যবস্থাপনা পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। রূপান্তর, সিবিএ এনভায়রনমেন্ট, মানবসম্পদ কার্যাবলী ও দল ব্যবস্থাপনায় তার অনন্য দক্ষতা রয়েছে। সেই সাথে, হাই-পারফরমেন্স কালচার গঠনের লক্ষ্যে কার্যকরী কৌশল গঠন ও বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাহিয়ার। বিগ ডেটা এবং প্রেডিক্টিভ অ্যানালিসিসের প্রতি বিশেষ আগ্রহ থেকে তাহিয়া তথ্য-নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছেন। তাহিয়া তার ক্যারিয়ারে পারফেটি ভ্যান মেলে, ব্র্যাক বাংলাদেশ, সিটি এন এ, ইউনিলিভার, ও নেসলে’র মত নামকরা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। তিনি সিএইচএস অ্যালায়েন্স আয়োজিত হিউম্যানিটারিয়ান এইচআর কনফারেন্সে প্যানেল সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, তিনি সাজিদা ফাউন্ডেশনের অ্যান্টি-সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট কমিটি’র সাধারণ পরিষদের অন্যতম অবৈতনিক সদস্য। সৈয়দা তাহিয়া হোসেন বাংলাদেশ থেকে ব্যাচেলর অব কমার্স এবং যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল কম্পিউটার সেন্টার থেকে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার স্টাডিজ সম্পন্ন করেছেন।
নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন
বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানে আইটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা ও নেতৃত্বদানে নিরঞ্জন শ্রীনিবাসনের ২০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি টেক মাহিন্দ্রা মালয়েশিয়া, ওরিডো মিয়ানমার এবং টেলিনর মিয়ানমারের মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। আইটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও তার এমএফএস (মোবাইল আর্থিক সেবা), ডিজিটাল অ্যাপ ও সেবা এবং বিএসএস (বিজনেস সাপোর্ট সিস্টেম) নিয়ে কাজের বিশেষ অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমাধান উন্নয়নের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সল্যুশন আর্কিটেকচার ও এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমের কনসেপচুয়ালাইজেশনে তিনি বিশেষভাবে দক্ষ। এছাড়াও, নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে তিনি দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন। নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন কোয়েম্বাটুরের ভারাথিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার টেকনোলজিতে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন।
শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী
শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর টেলিযোগাযোগ, মিডিয়া, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ একাধিক শিল্পখাতে ২০ বছরেরও বেশি কাজের বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়াও বিপণন, মার্কেটিং, জনসংযোগ, এবং সেলস ও ডিস্ট্রিবিউশনে রয়েছে তার বিস্তর অভিজ্ঞতা। গ্রামীণফোনে যোগদানের আগে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, বাংলালিংক, বেঙ্গল মিট এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককুয়ারি ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা বিষয়ে এম.কম এবং বাংলাদেশের নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন।