বাংলাদেশ একটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিশীলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে; তবে, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার উচ্চাভিলাষী দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করতে আমাদের উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরাণ্বিত করতে হবে।
উদ্যোক্তা এবং স্টার্টআপগুলো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাকা হিসাবে কাজ করে। উদ্ভাবনী স্টার্টআপগুলো নতুন পণ্য এবং পরিষেবা নিয়ে আসে, যা নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করে। এর ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরাণ্বিত হয়। জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের লক্ষ্য হলো এ ধরনের উদ্ভাবনী তরুণ স্টার্টআপগুলোর প্রবৃদ্ধিতে সহযোগিতা করা।
জিপি অ্যাকসেলারেটর (জিপিএ) হলো ২০১৫ সালে চালু হওয়া দেশের প্রথম দিকের স্টার্ট আপ ইনকিউবেটরগুলোর মধ্যে একটি৷ গঠন অনুসারে এটি একটি কোহর্ট-বেজড, মেন্টর-লেড, কারিকুলাম ড্রিভেন উন্মুক্ত উদ্ভাবন প্ল্যাটফর্ম, যা প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্টার্টআপগুলোকে তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহে সক্ষম করে ও ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখে। প্রোগ্রামটি ইক্যুইটি ফ্রি গ্র্যান্ট, বিশেষজ্ঞ মেন্টর, মানসম্পন্ন পাঠ্যক্রম, ইন-হাউজ ডেভেলপমেন্ট রিসোর্স, বিনিয়োগকারীদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ সহ সামগ্রিক সহায়তা প্রদান করে। এর লক্ষ্য হলো স্টার্টআপগুলোকে দ্রুত মার্কেটে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে, প্রবৃদ্ধির মূলধন বাড়াতে এবং কমিউনিটিগুলোকে ভ্যালু ফিরিয়ে দিতে সক্ষম করা।
প্রোগ্রামের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী আউটরিচ এবং স্টার্টআপ পাইপলাইন তৈরির জন্য রিজিওনাল ডিজাইন থিংকিং বুটক্যাম্পের আয়োজন করা। একটি প্রবৃদ্ধি-কেন্দ্রিক ছয় মাসব্যাপী অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম, যা প্রকৃত অর্থে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে টেকসই ও বিনিয়োগের বিষয়টিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি, প্রাথমিক পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের তাদের উদ্ভাবনী চর্চাকে বিনামূল্যে অনুশীলনের জন্য অনলাইন কারিকুলাম অ্যাকসেলেরেটর অন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ চালু করেছে।
ইতিমধ্যে ৪৪টি স্টার্টআপ নিয়ে ৬টি ব্যাচের কার্যক্রম শেষ করেছে জিপি অ্যাকসেলেরেটর। এ প্রোগ্রামে অংশ নেয়া তিনটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যালুয়েশন ৫০ লাখ মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। এ স্টার্টআপগুলো হলো: সেবা এক্সওয়াইজেড, সিএমইডি হেলথ ও পার্কিংকরি। চাকরি সৃষ্ট্রিতে স্টার্টআপগুলির উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক মডেলগুলি অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলেছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে উদ্ভাবনী এবং আরো টেকসই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন। আর এ কারণেই, জিপি অ্যাকসেলেরেটর বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করেছে। স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশের উদ্ভাবন এবং ডিজিটালাইজেশনের ধারাকে ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য এ প্রোগ্রামটি ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার লাভ করে।
জিপি অ্যাকেসেলেরেটর ইকোসিস্টেম এক্সপার্ট বেটারস্টোরিজ লিমিটেড, লাইট ক্যাসেল পার্টনারস, অ্যাংকরলেস, আইডিএলসি, বাংলাদেশ অ্যাঞ্জেল নেটওয়ার্কের মতো বিনিয়োগ অংশীদারদের সাথে পার্টনারশিপে কাজ করছে। আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস হোস্টিং পরিষেবা প্রদানের জন্য জিপি অ্যাকসেলারেটরের অংশীদার।
আরো অনুসন্ধান করুন www.grameenphone.com/about/gp-accelerator